অনন্ত প্রতীক্ষা
ঋক ভৌমিক---অনন্ত
প্রতীক্ষা
একটা ছোটো পাহাড়ি জংশন....
কলকাতাকে ভুলে ঘর বেঁধেছি এখানে।
শান্ত রেলবগি গুলো ঝিক্ ঝিক্ করতে করতে
মিলিয়ে যায় পাহাড়ের ওপারে।
বড় ভালোবাসি বলে সুখের কথাগুলো স্মৃতির
পাতায় রাখিনি কোনোদিন।
সেই কবে একবার রক্তের স্রোতে ভিজে গিয়েছিল
আমার স্বাধীনতা।
তখনও সন্ধ্যে হয়নি....
বাইপাসের উল্টোদিকে রুমি তখন দাঁড়িয়ে,
হাতে তার রজনীগন্ধার স্টিক।
প্রতিটি মুহূর্তে আমার প্রতীক্ষা সূর্যের আলোয়
মিলিয়ে
যেতে লাগলো।
হঠাৎ আততায়ীর মতো একটি দুরন্ত বাস
ধাক্কা মারলো রুমিকে,
কালো পিচের রাস্তা ভরে গেল রক্তের স্রোতে।
সূর্য দেখলো বিষণ্ণ আলোয় শেষ সূর্যাস্ত লেখার
ইতিহাস।
কলকাতা ছেড়ে ছোটো পাহাড়ি জংশনে ঘর
বেঁধেছি আজ।
প্রতীক্ষাকে ঠাঁই দিয়েছি প্রতীক্ষার আলোয়।
যদি আবার কখনো ফিরে আসে রুমি,
শান্ত রেলবগি মিলিয়ে যায় পাহাড়ের ওপারে,
শুধু কানে ভেসে আসে ঝিক্ ঝিক্ ঝিক্ ঝিক্।
No comments
লেখাটি আপনার কেমন লেগেছে অনুগ্রহ করে কমেন্ট করে জানাবেন।
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপনিও আপনার জানা বা দেখা যে কোন ওইতিহাসিক-ভ্রমন স্থান সম্পর্কে অথবা আপনার লেখা কবিতা পাঠান আর আমাদের গান ও কবিতা ঘরের সদস্য হয়ে যান। ধন্যবাদ- all-banglakobita.com (ক্লিক করুন -আপনার লেখা)